অন পেজ এসইও কি ? অনপেজ এসইও কিভাবে করতে হয়?
![]() |
অন পেজ এসইও কি ? অনপেজ এসইও কিভাবে করতে হয়? |
অন পেজ এসইও কি এবং অনপেজ এসইও কিভাবে করতে হয় জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনাকে পড়তে হবে। আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অন পেজ এসইও সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখতে হবে।
এর আগের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে রিলেটেড কিছু তথ্য দিয়েছিলাম আর এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কিভাবে আপনি একটি ওয়েবসাইটকে অনপেজ এসইও করতে পারেন।
এসইও কত প্রকার?
অন পেজ এসইও কি এটা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কত প্রকার অর্থাৎ SEO কত প্রকার। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজs অপটিমাইজেশন অর্থাৎ seo দুই প্রকার।
- অনপেজ এসইও।
- অফ পেজ এসইও।
আর আমাদের এই পোষ্ট জুড়ে অনপেজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আর এর পরবর্তী পোস্টে অফ পেজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত থাকবে।
একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের ফাস্ট পেজে নিয়ে আসার জন্য অনপেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনপেজ এসইও করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন অনপেজ এসইও করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আপনি অন-পেজ এসইও করতে পারবেন। নিচে অনপেজ এসইও ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে মেটা কীওয়র্দ যোগ করুন।
একটি ওয়েবসাইটকে অনপেজ এসইও করতে হলে অবশ্যই সর্বপ্রথম সেই ওয়েবসাইট কোন নিস দ্বারা তৈরি হয়েছে সেটা আপনাকে জানতে হবে। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট কোন টপিক এর উপরে তৈরি করা হয়েছে সেটাকে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। তারপর সেই টপিকের উপর একটি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করে যদি আপনার ওয়েবসাইটটি ব্লগার দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে অথবা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকুক না কেন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে গিয়ে এইচটিএমএল কোডিং হেড সেকশনের নিচে কিওয়ার্ড গুলো প্লেসমেন্ট করে দিবেন।
যদি আপনার আমার কথাগুলো বুঝতে না পারেন তাহলে কষ্ট করে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করবেন যে কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে কিওয়ার্ড বসাতে হয়। এটা কি আমরা মেটা কিওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটকে অনপেজ এসইও করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মেটা কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় আপনি অবশ্যই যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন সেগুলো হচ্ছে একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ ভলিয়ম যেন হাই থাকে। অপরদিকে যে কিওয়ার্ড টি আপনি ব্যবহার করছেন সেটার যেন কম্পিটিশন লো থাকে।
মেটা ডিস্ক্রিপশন ব্যবহার করুন।
উপরের ধাপ যদি আপনি শেষ করেন তাহলে যে কিওয়ার্ডগুলো আপনি সিলেক্ট করেছেন সেখান থেকে কিছু কিওয়ার্ড নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সুন্দর একটি মেটা ডেসক্রিপশন তৈরি করুন।
একটি ওয়েবসাইটকে অনপেজ এসইও করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মেটা ডিসক্রিপশন ব্যবহার করতে হবে। কারণ সার্চ রেংকিং এর অনেক এফেক্ট পড়ে এই ডেসক্রিপশন এর উপরে। সাধারণত একটি ওয়েবসাইট ডেসক্রিপশন 150 শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। তার চেষ্টা করবেন এই 150 শব্দের মধ্যে সুন্দর একটি ডেসক্রিপশন লেখার।
আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে মৃত পেজগুলোকে খুঁজে বের করা।
আপনি যদি অনপেজ এসইও ভালো করে শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে কোন লিংক গুলো কাজ করে না সেগুলো আপনাকে খুঁজে বের করা শিখতে হবে। যাকে আমরা 404 সমস্যা নামে চিহ্নিত করেছি। দেখা যায় অনেক সময় অনেক পোস্ট লেখার পরই সে পোস্ট গুলো ডিলিট করে দেওয়া হয় কিন্তু এই পোস্টে লিঙ্ক গুগোলে ইন্ডেক্স হয়ে রয়েছে। তাই সেই পেজগুলোকে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং অন্য পেজে সাথে রিডারেক্ট করে দিতে হবে।
আপনার কনটেন্ট কে কিভাবে অনপেজ এসইও করবেন?
আমরা তো উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে একটি ওয়েবসাইটকে অনপেজ এসইও করব। কিন্তু আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন আর্টিকেল লিখবেন আর্টিকেল গুলোকে কিভাবে অন পেজ এসইও করা যায় এখন আমরা সে পদ্ধতি টা শিখব। যাকে আমরা কথা বলতে পারি কিভাবে একটি পোস্টকে অনপেজ এসইও করা যায়।
পূর্বের মত অবশ্যই আপনাকে একটি পোষ্টকে এসইও করার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
আমি একটি পোস্টে কিভাবে করতে হবে সেটা step-by-step দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
- সর্বপ্রথম আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
- কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পরে আপনি যখন একটি আর্টিকেল লিখবেন সে আর্টিকেলের যে টাইটেল থাকবে অবশ্যই দেশে টাইটেল এর মধ্যে আপনার রিসার্চ করা কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
- যখন আপনি পোস্ট লিখবেন অবশ্যই পোস্ট লেখার প্রথম প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে আপনার কি ওয়ার্ড থাকতে হবে।
- h1 ট্যাগের মধ্যে অবশ্যই কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
- আর্টিকেল এর মধ্যে ইমেজ ব্যবহার করবেন এবং সেই ইমেজের অল্টার টেক্সটে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
- আর্টিকেলটি অবশ্যই 300 ওয়ার্ড এর উপরে হতে হবে।
- অন্য পেজের সাথে আর্টিকেল থেকে ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক করুন।
- যদি আপনি আপনার কম্পিটিটর কে হারাতে চান তাহলে অবশ্যই তার থেকে বড় করে লেখার চেষ্টা করবেন।
- ডিসক্রিপশন এর মধ্যে দুইবার কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- অবশ্যই এটা মাথায় রাখবেন আপনি যদি বেশি বেশি একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করেন সেই ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু কি- ওয়ার্ড স্টাফিং এর মধ্যে পড়ে যাবে। তাই সব সময় 1000 শব্দের আর্টিকেলের মধ্যে তিন থেকে চারবার কিওয়ার্ড বসাবেন।
যদি আপনি এই ধাপগুলো অনুসরণ করে ফেলেন তাহলে আপনার কনটেন্ট এর অন পেজ এসইও করা হয়ে যাবে।মোটামুটি এটাই ছিল অনপেজ এসইও নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা। যদি আপনাদের কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আমাদের কিছু কথা
আমরা চেষ্টা করেছি অনপেজ এসইও সম্পর্কে কিছুটা আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার জন্য। যদি কোন জায়গায় আপনার না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর আমাদের পরবর্তী পোস্ট হবে অফ পেজ এসইও কি এবং কিভাবে অফ পেজ এসইও করতে হয়!
পরবর্তী পোস্ট দেখার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ
yes u have the right
ReplyDeleteHelpful Content. Please visit our blog - https://www.idealagbe.me
ReplyDelete