কনটেন্ট রাইটার হিসেবে গুগোল এর যে টুলস গুলো আপনাকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে ব্লগিং সহ বিভিন্ন সেক্টরে কনটেন্ট রাইটার অনেক প্রয়োজন। তাই আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে গুগলের কিছু টুলস ব্যবহার করতে হবে। গুগলের এই শব্দগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার কনটেন্ট রাইটিং তাকে আরো ইজিলি এবং সহজভাবে করতে পারবেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই টুলস গুলো নিয়ে আলোচনা করব যেটা আপনার কনটেন্ট রাইটিং স্কিল কে আরো বাড়িয়ে দিবে।কনটেন্ট রাইটার হিসেবে গুগোল এর যে টুলস গুলো ব্যবহার করতে হবে।
১।গুগল এডওয়ার্ড
একজন কনটেন্ট রাইটার এর জন্য গুগল এডওয়ার্ড হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুলস। কারণ আপনি কোন টপিকের উপর লিখবেন সেটা পূর্ব থেকে আপনার ধারণা করে নিতে হবে। যদি আপনি পূর্ব থেকেই ধারণা পান যে আপনার এই টপিকের উপর লিখতে হবে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সুন্দরভাবে এবং গুছিয়ে কনটেন্ট লিখতে পারবেন।
গুগল এডওয়ার্ড একাউন্টের রয়েছে কিওয়ার্ড প্লানার যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যে কনটেন্ট লিখবেন সেটি কি মানুষ পড়বে কিনা সেটা সম্পর্কে পূর্ব থেকেই ধারণা নিতে পারবেন এবং সে ধারণা অনুযায়ী আপনার কোনটিকে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। যারা কন্টেন্ট রাইটিং এর সাথে জড়িত তারা অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন এই গুগল এড এর মাধ্যমে।
যেখানে আপনি অন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ গুলো ব্যবহার করলে প্রতিমাসে একটা পেমেন্ট তাদেরকে দিতে হবে সেখানে গুগল আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে রিসার্চ করার জন্য ফ্রিতে দারুন একটি টুলস প্রোভাইড করছে।
আপনার এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার জন্য এই টুলসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুলটি ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই কোন কীবোর্ডের উপরে কত সার্চ ভলিউম রয়েছে সেটা পূর্ব থেকেই ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই ফ্রিতে এমন একটি টুলস সবাই ব্যবহার করতে চায়
২। গুগোল ট্রেন্ড
একজন কনটেন্ট রাইটার যখন একটি কন্টেন লিখেন তার অবশ্যই সেই বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে এই কনটেন্টটি মার্কেটে কতদিন চলবে। অথবা পূর্বে এই কনটেন্টে মার্কেটে কতটুকু ভেজাল ছিল সেটা মাথায় রেখেই একজন কনটেন্ট রাইটার কন্টেন লিখতে বসে। গুগোল ট্রেন্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি ধারণা পেয়ে যাবেন যে আপনার কনটেন্ট মার্কেটে কত দিন টিকে থাকতে পারবে।
৩। গুগোল ডকস
আমার দেখা মতে কনটেন্ট রাইটার দের জন্য গুগলের বিনামূল্যে যে টুলস গুলো রয়েছে সেগুলো মধ্যে সেরা একটি টুলস হচ্ছে গুগোল ডকস। আপনি যদি একজন ভাল মানের কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই গুগোল ডকস ব্যবহার করে থাকবেন। আর যদি গুগোল ডকস এখনো ব্যাবহার করে না থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই ব্লগ সাইটে গুগোল ডকস নিয়ে একটি আর্টিকেল রয়েছে সেটা পরে আসবেন।পড়ুন-গুগোল ডকস ব্যবহার করে আর্টিকেল রাইটিং আরো সহজ করুন।
বিশেষ করে নতুন কনটেন্ট রাইটার দের জন্য যে সমস্যাটা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে আর্টিকেল টাইপিংয়ে। প্রথম অবস্থায় অনেকেই টাইপ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। যারা একটু অলস টাইপের তাদের জন্য গুগোল ডকস হচ্ছে বেস্ট অ্যাক্টরস যেটার মাধ্যমে আপনি কোন প্রকার টাইপিং ছাড়াই শুধুমাত্র ভয়েস টাইপিং এর মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন। এবং খুব দ্রুত করতে পারবেন যদি আপনার নেটওয়ার্ক টা ফাস্ট হয়ে থাকে তাহলে খুব দ্রুত এবং নিখুঁত ভাবে আপনি ভয়েস টাইপিং এর মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন।
৪।গুগল সার্চ কনসোল
একজন কনটেন্ট রাইটার যখন একটি আর্টিকেল রাইটিং করেন তখন অনেক সময় তার উপর দায়িত্ব চলে আসে সে আর্টিকেলটি গুগলে ইনডেক্স করিয়ে দেওয়া। এখন আপনি একটি আর্টিকেল আপনার ব্লগ সাইটে বিভিন্ন মাধ্যমে লিখলেন লেখার পর এই আর্টিকেলটি অবশ্যই গুগলে ইন্ডেক্স করতে হবে। যদি আপনি গুগলে ইনডেক্স না করেন তাহলে যদি আপনি সে আর্টিকেলটি কে এসইও করে থাকেন না কেন সেটা গুগলে কেউ সার্চ করে পড়তে আসবেনা। তাই গুগোল থেকে দেওয়া ফ্রী টুলস গুলোর মধ্যে গুগল সার্চ কনসোল একটি গুরুত্বপূর্ণ টুলস। যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার কনটেন্ট লেখার পরে সেটা গুগলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাবলিশ করতে পারবেন।
৫। গুগল এনালাইটিক্স
একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে কি পরিমাণ ট্রাফিক ভিজিটর কোন দেশ থেকে আসে সেটা পর্যালোচনা করার জন্য গুগল এনালাইটিক্স টুলসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যা কিনা আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারবেন। গুগল এনালাইটিক্স টুলস এর মাধ্যমে আপনার কন্ঠে কোন দেশ থেকে কি পরিমান ভিজিটর আসলো সেগুলো মনিটরিং করতে পারবেন। কি পরিমান আয় হলো সেটাও আপনি গুগলের মাধ্যমে করতে পারবেন। এক কথায় গুগল এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর যাবতীয় জিনিস পর্যালোচনা করতে পারবেন।
এছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের রয়েছে যেগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গুগোল আমাদেরকে প্রোভাইড করে যাচ্ছে। তাই আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই শব্দগুলো ব্যবহার করে দেখবেন। যদি আপনি পূর্বে এসব টুলস গুলো ব্যাবহার করে না থাকেন তাহলে অবশ্যই একবার হলেও ব্যবহার করবেন দেখবেন পূর্বের থেকে অনেক ভালো কাজ করে আনন্দ পাচ্ছেন।