পরীক্ষায় A+ পেতে হলে কিভাবে পড়ালেখা করতে হবে জানো !
প্রিয় শিক্ষার্থী বোনেরা আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো।এই পোস্টের টাইটেল দেখে হয়তোবা বুঝে গিয়েছে যে কোন টপিকে আজকে আমরা আলোচনা করব। আজকে আমাদের টপিক হলো কিভাবে পড়ালেখা করলে তোমরা পরীক্ষায় এ প্লাস আনতে পারবে।
প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী চায় তারা যেন পরীক্ষা তে ভালো রেজাল্ট করতে পারে। তবে যারা মন দিয়ে প্রান দিয়ে ভাল রেজাল্ট করতে চায় তারা অবশ্যই ভালো রেজাল্ট করে। যেহেতু তুমি গুগলে সার্চ করে আমার এই লেখাটি পড়তে এসেছে সেও তো আমি ধরে নিতে পারি পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়ার অনেক আগ্রহ রয়েছে তোমার মধ্যে।
পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে হলে তোমাকে অবশ্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তবে অনেক সময় ভাগ্যক্রমে অনেক ছাত্রছাত্রীরা কম পরিশ্রম করেও ভালো রেজাল্ট বয়ে আনতে সক্ষম হয়। তবে সেটা হাতেগোনা কিছু মাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের বেলায় হয়ে থাকে। তাই তোমার যদি ইচ্ছা থাকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবে এবং গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ার স্বপ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি পড়ার পর থেকেই আরো বেশি করে পড়ালেখা শুরু করে দিবে।
পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়ার জন্য কিছু স্টেপ তোমাদেরকে অবশ্যই ফলো করতে হবে। নিচের স্টেপগুলো দেয়া হলো যে গুলো অনুসরণ করে তোমরা পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে।
- পরীক্ষা তে এ প্লাস পেতে হলে বছরের প্রথম দিন থেকেই পড়াশোনা শুরু করে দিতে হবে।
- পরীক্ষা তে এ প্লাস পেতে হলে অবশ্যই তোমাকে রুটিনমাফিক পড়ালেখা করতে হবে। যদি তোমরা বুঝতে না পারো কিভাবে একটি রুটিন তৈরি করতে হয় তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আমরা আরো একটি পোষ্ট করেছি যে কিভাবে পড়ালেখার রুটিন তৈরি করতে হবে। তোমরা চাইলে সে রুটিনটি ধারণা নিয়ে নিজের মত করে একটি রুটিন বানিয়ে নিতে পারবে।
- অবশ্যই নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে এবং মনোযোগ সহকারে ক্লাসের পড়া গুলো বুঝতে হবে।
- তুমি যদি পরীক্ষায় এ প্লাস পেতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে প্রতিদিন 24 ঘন্টা থেকে 18 ঘণ্টা পড়ালেখা করতে হবে। তুমি যদি এই 18 ঘণ্টা পড়ালেখা মনোযোগ সহকারে করতে পারো তাহলে তুমি অবশ্যই পরীক্ষা তে গোল্ডেন এ প্লাস বয়ে আনতে সক্ষম হবে।
- কোন অধ্যায়ের কোন টপিক একেবারে ছোট টপিকে যদি তুমি না বুঝ সে ক্ষেত্রে সেটাকে বাদ দেওয়া যাবে না। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষাতে তুমি যে টপিকটি বাদ দিয়েছে সেটাও চলে আসতে পারে তাই তোমার মাথায় যদি চিন্তা থাকে তুমি পরীক্ষায় এ প্লাস আনবে সে ক্ষেত্রে একেবারে ছোটখাটো বিষয়গুলোকে ও তোমাকে ভাল করে শিখে যেতে হবে।
- যদি তোমাদের প্রাইভেট টিচার থাকে অর্থাৎ তোমরা যাদের কাছে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম সমস্যা বের করে তাদের সামনে হাজির করবে। তবে খেয়াল রাখবে যদি তারা ওই সমস্যাগুলো একদিনে সমাধান করতে না পারে তাহলে অবশ্যই তাকে পরবর্তী দিন সেটা জিজ্ঞেস করবে। কারণ প্রত্যেককেই সবকিছু জানে এমন কিন্তু নয়।
- নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া। পরীক্ষাতে যদি ভালো রেজাল্ট করতে হয় তাহলে অবশ্যই নিজেকে আগে ঠিক রাখতে হবে। তুমি যদি পড়তে পড়তে অসুস্থ হয়ে যাও সে ক্ষেত্রে পরীক্ষাতে কিন্তু ভালো রেজাল্ট কখনোই আশা করা সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করবে এবং শরীরের প্রতি খেয়াল রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন ।
- বেশি বেশি করে প্রতিটি অধ্যায়ের নোট তৈরি করা। একজন ভালো ছাত্র বা ছাত্রী প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে তার একটি রুটিন থাকবে এবং প্রতিদিন সে যে পড়ালেখা করবে সেগুলোর একটি নোট শীট তৈরি করা। যেন পরবর্তীতে পরীক্ষার আগে তার শিটগুলো গুলো দেখে খুব সহজেই পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।
- যত বেশি সম্ভব রিভিশন দেওয়া। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই তোমাকে একটি বই কে মিনিমাম 15 থেকে 20 বার রিভিশন দিতে হবে যেন ওই বইয়ের প্রতিটি জায়গার প্রতিটি অক্ষর তোমার চোখের সামনে পরীক্ষার সময় ভাসে।
যদি তোমরা পড়েই কয়টি টিপস অনুসরন করতে পারো তাহলে অবশ্যই পরীক্ষাতে তোমারও একটি সাফল্যমন্ডিত ফলাফল চলে আসবে। সবাই চায় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে তাই তোমাদের উচিত এই লেখাটি সবার কাছে অর্থাৎ তোমার বন্ধুদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তাই নিচের শেয়ার বাটনে চেপে তুমি তোমার বন্ধুদের কাছে আমার লেখা থেকে পাঠিয়ে দিতে পারো। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবে খোদা হাফেজ।
মাশাআল্লহ জাযাকাল্লহু খয়রান (আল্লহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন)। আমিন।
ReplyDeleteThank you🌹🌹
ReplyDeleteBalo
ReplyDelete